নির্বাচনের আগে সংস্কার ও ‘জুলাই সনদ’ সংশোধনের দাবি খেলাফত মজলিসের

আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। তবে দলটি বলেছে, একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে নির্বাচনের পূর্বেই দৃশ্যমান সংস্কার, বিচার এবং সবার জন্য সমান সুযোগ অর্থাৎ ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ তৈরি করতে হবে। এ ছাড়া সম্প্রতি প্রকাশিত ‘জুলাই ঘোষণাপত্রে’ (জুলাই সনদ) একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উপেক্ষা করা হয়েছে বলেও মন্তব্য করে দলটি, এবং অবিলম্বে ঘোষণাপত্রটি সংশোধনের দাবি জানিয়েছে।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী পরিষদের এক সভা থেকে এসব দাবি জানানো হয়। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় খেলাফত মজলিস।

সভায় নেতারা বলেন, "নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান সংস্কার জরুরি। গণহত্যাকারী পতিত ফ্যাসিস্টদের বিচারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি থাকতে হবে। কালো টাকা ও পেশিশক্তিমুক্ত নির্বাচনের জন্য সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে।"

তাঁরা আরও বলেন, "জুলাই ঘোষণাপত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। ১৩তম দফায় এক-এগারোর অগণতান্ত্রিক সরকার ও ২০০৮ সালের পাতানো নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে, যা গ্রহণযোগ্য নয়। ১৭তম দফায় অভ্যুত্থানের শহীদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ১ হাজার, যেখানে জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী সংখ্যা আরও বেশি।"

দলটি অভিযোগ করে, পিলখানা হত্যাকাণ্ড (২০০৯), শাপলা চত্বর গণহত্যা (২০১৩), কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দমন-পীড়ন (২০১৮), এবং নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে আন্দোলনে প্রাণহানি (২০২১)—এই সব ঘটনার কোনও উল্লেখ ঘোষণাপত্রে করা হয়নি। এ কারণে খেলাফত মজলিস মনে করে, এসব সংশোধন করে সংযোজন না করলে জুলাই সনদ ‘অপূর্ণাঙ্গ, অভ্যুত্থান-বিরোধী চেতনার পরিপন্থী এবং জাতির জন্য হতাশাজনক’ হবে।

দলের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, মাওলানা সাইয়্যেদ ফেরদাউস বিন ইসহাক, যুগ্ম মহাসচিব জাহাঙ্গীর হোসাইন এবং মুহাম্মদ মুনতাসির আলী প্রমুখ।