ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনে আপত্তি নেই, তবে যেনতেন নির্বাচন চায় না জামায়াত: আবদুল্লাহ তাহের

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হলে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ‘যেনতেন নির্বাচন’ তাঁরা চান না। রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে রোববার (০৬ জুলাই ২০২৫) ‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে জাতীয় ঐক্য অপরিহার্য’ শীর্ষক এক সংলাপে এ কথা বলেন তিনি। এই সংলাপের আয়োজন করে ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (এফএসডিএস)। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা এতে অংশ নেন।

আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, “যেনতেন নির্বাচন চাই না মানে আমরা নির্বাচন চাই না—এটা কিন্তু নয়। আমাদের বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে এবং সন্দেহ সৃষ্টি করা হচ্ছে। যারা যেনতেন নির্বাচন চায়, আমরা তাদেরও চাই না। যেনতেন নির্বাচন যারা করেছে, আমরা তাদের বিতাড়িত করেছি।” তিনি আরও বলেন, এ ধরনের নির্বাচন হলে দেশে বিচার ও সংস্কারের প্রচেষ্টা বৃথা যাবে। তিনি জোর দেন, সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যে পৌঁছানো উচিত এবং সুষ্ঠু নির্বাচন কীভাবে সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, “এ ধরনের আলোচনায় আমরা যুক্ত হলে মতপার্থক্য দূর হয়ে যেতে পারে।” তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকবে। তিনি বলেন, “আমরা ট্র্যাডিশনাল নির্বাচনের বিপরীতে পিআর (প্রোপোর্শনাল রিপ্রেজেন্টেশন) পদ্ধতি চাই, স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে চাই। এটি আমাদের দলীয় এজেন্ডা। অন্যদেরও নিজস্ব এজেন্ডা আছে। তবে মতপার্থক্য থাকলেই যে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হচ্ছে—এ ধরনের ধারণা একটি ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।” সংলাপে অন্যদের মধ্যে অংশ নেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার, আলোকচিত্রী সাংবাদিক শহিদুল আলম, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) নূর উদ্দিন খান, সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী প্রমুখ। সংলাপে জাতীয় ঐক্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের গুরুত্বের ওপর জোর দেওয়া হয় এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে মতপার্থক্য কমিয়ে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের লক্ষ্যে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।